দলনেত্রীর ছবি এবং তৃণমূলের (trinamool congress) পতাকা সরিয়ে ছিলেন আগেই। এবার দলনেত্রীর প্রতিই অনাস্থা প্রকাশ করলেন তৃণমূল বিধায়ক। জেলায় ব্লক কমিটি ঘোষণা নিয়ে অসন্তোষের শুরু। পরে পিকের কাজ নিয়ে কটাক্ষ করেন মিহির গোস্বামী (mihir goswami)। তেমনই ভেবে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন, যে দলের অভিধানে ‘সম্মান' বলে শব্দটিই অনুপস্থিত সেই দলে কীভাবে তিনি বাইশটা বছর কাটিয়ে দিলেন, তা ভেবে! উত্তর একটাই, দিদির ওপর বিশ্বাস-আস্থাতেই এতদিন টিকে ছিলাম।
তিনি আরও বলেছেন, ঊনিশশো ঊননব্বই সাল থেকে তাঁর নেতৃত্ব মেনে দীর্ঘ তিরিশ বছর অতিক্রম করার পর হঠাৎ বোধগম্য হয়েছে, এ দল এখন আর আমার দিদি'র দল নয়, দিদি এখানে নিস্পৃহ। তাই 'দিদির লোক' এখানে অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন। অন্যায্য সবকিছু মেনে নিয়ে 'যো হুজুর' করে টিকে থাকতে পারলে থাকো, নয়ত তফাৎ যাও। বহু পুরনো রাজনৈতিক বন্ধুর ফোন পেয়েছেন রাজ্যের বাইরে থেকেও। কেউ অফার দিয়েছেন, কেউ পরামর্শ দিয়েছেন, কেউ শুধু ভালবাসা দিয়েছেন। সতীর্থ অনেক সহকর্মী নেতার ফোন এসেছে বাংলার নানা প্রান্ত থেকে, কলকাতা থেকে, সবার ফোন ধরা হয়ত সম্ভব হয়নি। কিন্তু গত ছয় সপ্তাহে খোদ নেত্রীর কাছ থেকে কোনও ফোন আসেনি। কোনও বরখাস্তনামা কিংবা বহিষ্কাররের নির্দেশও আসেনি তাঁর কাছ থেকে।
তিনি মনে করেন, "দল আর আমার নেত্রীর হাতে নেই, এই দল আর আমার নয়।" তাই এই দলের সঙ্গে সমস্ত রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করাটাই কি স্বাভাবিক নয়, প্রশ্ন করেছেন মিহির গোস্বামী।
0 Comments