বিপুল ব্যবধানে জয় বিজেপির (BJP)। এদিন ছিল গুজরাতের (Gujarat) গান্ধীনগরের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ভোটগণনা। সকাল নটায় গণনা কেন্দ্রগুলিতে গণনা শুরু হতে বিজেপি এগিয়ে যেতে থাকে। বেলা যত বাড়তে থাকে অন্য সবদলের সঙ্গে বিজেপির আসন সংখ্যার ব্যবধানও বেড়ে যায়।
এদিন গণনা শুরু হওয়ার পরে মনে হয়েছিল কংগ্রেসের আসন এবার দুই সংখ্যায় পৌঁছে যেতে পারে। কেননা সকাল দশটা নাগাদ দেখা গিয়েছিল বিজেপি যখন এগিয়ে ১৩ টি আসনে, সেই সময় কংগ্রেস ছিল ৭ টি আসনে এগিয়ে আর আপ এগিয়ে ছিল ২ টি আসনে। এরপর এগারোটা নাগাদ একধাক্কায় সেই ব্যবধান বেড়ে যায়। বিজেপি এগিয়ে যায় ২৭ টি আসনে আর কংগ্রেস ৩ টি আসনে।
বেলা সাড়ে বারোটার পরে দেখা যায় বিজেপি এগিয়ে গিয়েছে ৪১ টি আসনে আর কংগ্রেস এগিয়ে দুটি আসনে এবং আপ ১ টি আসনে। দুটোর কিছু পরে চূড়ান্ত ফলাফলও ঘোষণা করে দেওয়া হয়। বিজেপি জিতে যায় ৪১ টি আসনে। সম্প্রতি রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তনের পরে এবং ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির এই জয় যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এদিন আপের তরফে জানানো হয়েছে ২০১৬-তে গান্ধীনগরে তাদের কোনও প্রভাব না থাকলেও এবার তারা একটি আসন পেলেও ভোট পেয়েছে ১৭ শতাংশের মতো।
৩ অক্টোবর রবিবার গান্ধীনগরে পুর নির্বাচন হয়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ১৬১ জন প্রার্থী। বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয় দলই ৪৪ টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। আপের প্রার্থী দিয়েছিল ৪০ টি আসনে। গত এপ্রিলে এই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও, করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এদিনের এই আসন সংখ্যার জেরে বিজেপি গান্ধীনগরে প্রথমবারের জন্য পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল। ২০১৬ সালের গান্ধীনগরের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়দলই ১৬ টি করে আসন পেয়েছিল। আগেরবারের নির্বাচনে এই পুরসভায় আসন সংখ্যা ছিল ৩২টি। দুইদলের সমসংখ্যক আসন থাকায় টস করে বোর্ড তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কংগ্রেসের প্রবীন প্যাটেল বিজেপিতে যোগ দিয়ে গেরুয়া শিবিরকে বোর্ড গঠনে সাহায্য করেন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে গুজরাতে স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপিই আধিপত্য দেখিয়েছিল।
0 Comments