প্রথম দুই দফার ভোটের মত তৃতীয় দফাতেও রক্ত ঝরল বাংলায়। নির্বাচন চলছে রাজ্যে। কিন্তু রাজ্য যে কার্যত দুষ্কৃতিদের হাতে চলেছে তা বাংলার বিধানসভা ভোট থেকেই স্পষ্ট। নির্বাচন কনডাক্ট করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ দেশের নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যাবস্থা যে কার্যত ভেঙে পড়েছে তাও স্পষ্ট রাজ্যের বিধানসভা ভোট থেকে। যারা এই বিশৃঙ্খলায় প্রাণ হারাচ্ছেন তাদের প্রতিনিধি হিসিবে এবং একজন সহনাগরিক হিসিবে অবিলম্বে আমরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। তাঁর ওই পদে বসে থাকার আর কোনও অধিকার নেই। কারণ রাজ্যের তিন দফার ভোটেই স্পষ্ট রাজ্য কার্যত দুষ্কৃতকারীদের আখড়া হয়ে গিয়েছে। এবং রাজ্য পুলিশ সেই দুষ্কৃতিদের পদলেহন করতেই ব্যস্ত এবং তাদের বাঁচাতে তৎপর। যেভাবে মহিলা প্রার্থীদের মারা হল প্রকাশ্যে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী তো একজন মহিলা। তাঁর কী সে পদে আর বসে থাকার অধিকার আছে? আপনারা তন বিচার করুন। এবং যেভাবে খুন হচ্ছে প্রতি ভোটে তা দেখে, সেই মা হারা ছেলে বা ছেলে হারা মায়ের আর্তনাদ শুনে মনে রেখে বাকি দফায় নিজের ভোটটা দেবেন। তৃতীয় দফার ভোটেও সেই রক্ত ঝড়ার ধারা অব্যাহত থাকল। হুগলিতে এদিন ভোটের বলি হলেন বৃদ্ধা। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন হতভাগ্য বৃদ্ধা। অভিযোগ দুষ্কৃতকারীরা তৃণমূল আশ্রিত। একই ছবি ধরা পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগণাতেও। সেখানে প্রকাশ্যে ভোটারদের শাঁসালো তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী। এমনকি নতুন ভোটারকেও শাঁসালো তারা। প্রশ্ন একটাই ভোটের নামে এই প্রহশন আর কত দিন দেখবে বাংলার মানুষ?
0 Comments