তাঁর ‘খাসতালুকে’ তৃণমূলের কর্মসূচি। অথচ জিতেন্দ্র তিওয়ারিকেই আমন্ত্রণ জানাল না দল! পাণ্ডবেশ্বরের দলীয় সভায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার সব নেতা-নেত্রীকে ডাকা হলেও বাদ পড়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্রই। যা শুনে আসানসোলের প্রাক্তন পুর প্রশাসকের প্রতিক্রিয়া, ‘‘দল আমাকে বিশ্বাস করতে পারছে না!’’
তৃণমূল দল এবং আসানসোল পুর প্রশাসকের পদ ছাড়লেও এখনও বিধায়কের পদ ছাড়েননি জিতেন্দ্র। অর্থাৎ, খাতায়কলমে তিনি এখনও পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক। সেই পাণ্ডবেশ্বরেই নতুন বছরের গোড়ায় ২ জানুয়ারি মহিলা তৃণমূলের সাংগঠনিক সভা। অথচ পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ককেই সেই সভায় ডাকা হয়নি। সভায় মূল বক্তা রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, দুর্গাপুরের প্রাক্তন মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়, বর্তমান মেয়র দিলীপ অগস্তি-সহ জেলার প্রায় সব নেতা-নেত্রী। নেই শুধু জিতেন্দ্র।
জিতেন্দ্রর ব্যাখ্যা, ‘‘আমি দল এবং সরকারি পদ ছেড়েছিলাম। আবার দলে ফিরেছি। কিন্তু পাণ্ডবেশ্বর-সহ আসানসোল-দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশ এখনও আমাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। তার প্রভাব পড়েছে দলের শীর্ষনেতৃত্বের আমন্ত্রণেও।’’
জিতেন্দ্র ফেসবুকে পোস্ট করে বসেন, ‘রাজনীতিতে ফুলস্টপ বলে কিছু হয় না।’ পরের দিনই আবার টুইট করেন, তাঁর বিজেপি-তে যাওয়ার জল্পনা যাঁরা উস্কে দিচ্ছেন, তাঁদের উৎফুল্ল হওয়ার কারণ নেই। তার পরেও আবার তাঁকে কলকাতার এমন একটি পাঁচতারা হোটেলে দেখা গিয়েছে, যেখানে বিজেপি নেতারাও ঘটনাচক্রে হাজির! যদিও জিতেন্দ্র দাবি, তিনি ওই হোটেলে পরিবারকে নিয়ে নৈশাহার সারতে গিয়েছিলেন। বিজেপি-র সঙ্গে কোনও বৈঠকই তাঁর হয়নি। কিন্তু এ ভাবে বার বার জল্পনা উস্কে দেওয়া এবং এমন একাধিক ঘটনাক্রমের জেরেই সম্ভবত তাঁকে এড়িয়ে চলার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল।
0 Comments