মেরে কেটে হাতে আর তিন মাস বাকি, তারপরই কার্যত কুরুক্ষেত্র শুরু হচ্ছে রাজ্যে। না কোনও সামরিক যুদ্ধ নয়, তবে যুদ্ধই বটে। নীল বাড়ি দখলের লড়াই। আর লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল, বিজেপি, বাম-কংগ্রেস সব পক্ষই। পিছিয়ে নেই মিমিও। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক সেরে গিয়েছেন ওয়াইসি। মিম যে রাজ্যের মুসলিম ভোটে বড় ফাটল ধরাতে মরিয়া তা মিম প্রধান ওয়াইসির কথাতেই স্পষ্ট। জোট করে লড়ছে বাম-কংগ্রেসও। কিন্তু এত সবকিছুর মধ্যে প্রবল সংকটে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৯ লোকসভা ভোটের নিরীখে তৃণমূল ভোট ব্যাঙ্কে ব্যাপক আঘাত করেছে বিজেপি। শতাংশের নিরীখেও অনেকটাই বেড়েছে বিজেপির ভোট। এই অবস্থায় রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। গত লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরীখে প্রায় ১৩০ টি বিধানসভাতেই এগিয়ে বিজেপি। তাদের দলীয় সমীক্ষাতেও স্পষ্ট ১৬০ থেকে ১৭৫টি আসন পেতে পারে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূলের সমীক্ষায় উঠে এসেছে মেরেকেটে ১৬০টি আসন পেতে পারে তৃণমূল। এই অবস্থায় রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, তৃণমূল যে সমীক্ষা করেছে তা বাস্তব হবে তথনই যখন দলের অন্দরে কোন্দল মিটবে। তবে তা মেটার সম্ভবনা তো নেই বরং দিন দিন কোন্দল আরও বাড়ছে। ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন একাধিক বিধায়ক, সাংসদ এমনকি রাজ্যের মন্ত্রীও। তৃণমূলের অন্দরেই একে অপরকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। শুধু তাই নয়, তৃণমূলে কখন কোন নেতা দলে আছেন আর সকালে থাকবেন না তা কেউ হলফ করে বলতে পারছেন না। ভোটের আগেই যেভাবে ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে দল তাতে ভোটের আগেই বিজেপির অনেকটা সুবিধা হয়ে গিয়েছে। এর জন্য অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্ব দায়ি করছেন প্রশান্ত কিশোরকে। তবে যাই হোক, এই ছন্নছাড়া অবস্থা নিয়ে ভোটে লড়ার পর কি হবে তা কেউই বলতে পারছেন না।
0 Comments